রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেছেন, আমাদের দেশের মানুষ সম্পদ শেয়ার (ভাগাভাগি) করে না, করলে দারিদ্র্য ইতিহাসে চলে যেতো।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ভবনে প্রাইম ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে কবির এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের একটি বক্তব্য উদ্ধৃতি করে গর্ভনর বলেন, মানুষ কিন্তু সম্পদ ভাগাভাগি করে না। সম্পদ যদি সবাই ভাগাভাগি করতাম, যেখানে প্রয়োজন সেখানে দিতাম; সেটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হোক, সামাজিকভাবে হোক, পারিবারিকভাবে হোক আর ব্যক্তিগতভাবে হোক; তাহলে কিন্তু আমাদের দারিদ্র্য ইতিহাসে চলে যেতো।
রাশিয়ান একজন লেখকের উদ্ধৃতি দিয়ে গর্ভনর বলেন, আপনি একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে দেবেন, সেই মোমবাতি দিয়ে আবার হাজারো মোমবাতি জ্বালাবে। আজকে সম্মাননা পাওয়া চারজন ছাড়াও আমি দেখছি, এমবিবিএস চিকিৎসক ২৮৭ জন, প্রকৌশলী ২২৮ জন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষক ৭৫ জন, বিসিএস ও সরকারি কর্মকর্তা ৫২ জন, ব্যাংকার ১৪২ জন রয়েছেন। বিশেষ করে যারা চিকিৎসা ও শিক্ষকতা করছেন তারাই এই মোমবাতি জ্বালিয়ে দেবেন। আর এজন্য আপনাদের সহায়তা করছে প্রাইম ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির আওতায় প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচিতে চলতি বছর দেশের ২৬৩ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য প্রতিমাসে দুই হাজার ৬০০ টাকা করে দেওয়া হবে। ২০০৭ সাল থেকে প্রাইম ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদে এই বৃত্তি দিয়ে আসছে।
প্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশনের শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, সুনির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়াতে স্বচ্ছভাবে বৃত্তি প্রাপ্তদের নির্বাচন করা হয়। দেশে অনেক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী থাকলেও আমরা সবার জন্য এই বৃত্তি দিতে পারছি না। আনন্দের বিষয় হচ্ছে বৃত্তি প্রাপ্তদের অনেকেই এখন প্রতিষ্ঠিত নাগরিক। তবে আমি আশা করি ব্যাংকগুলো আরও এগিয়ে এলে মেধাবীরা আরও উঠে আসবেন, এগিয়ে যেতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে রিয়েল টাইম সুইচ চেপে বৃত্তি প্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে প্রথম কিস্তির টাকা স্থানান্তর করা হয়।